পোশাক পরিচ্ছেদ সম্পর্কিত সুন্নাত সমূহ কি কি। জামা কাপড় পড়ার সম্পর্কে সুন্নাত সমূহ কি |

 

পোশাক পরিচ্ছেদ সম্পর্কিত সুন্নাত সমূহ কি কি। জামা কাপড় পড়ার সম্পর্কে সুন্নাত সমূহ কি |
পোশাক পরিচ্ছেদ সম্পর্কিত সুন্নাত সমূহ কি কি। জামা কাপড় পড়ার সম্পর্কে সুন্নাত সমূহ কি |

 পোশাক পরিচ্ছেদ সম্পর্কিত সুন্নাত সমূহ কি কি।

 

 জামা কাপড় পড়ার সম্পর্কে সুন্নাত সমূহ কি




প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদা কাপড় বেশি পছন্দ করতেন। জামা-পায়জামাসহ সকল প্রকার পোশাক পরিধানের সময় ডান হাত ও ডান পা আগে প্রবেশ করাবে। পুরুষদের জন্য পায়জামা, লুঙ্গী, প্যান্ট এবং জামা, জুব্বা ও আবা পায়ের টাখনুর ওপর রাখবে। টাখনুর নিচে নামিয়ে পোশাক পরিধান করা হারাম। সাধারণভাবে কাপড় পরিধান করার সময় এই দু’আ পড়া


اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ كَسَانِيْ هذَا الثَّوْبَ وَ رَزَقَنِيْه مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّيْ وَ لاَ قُوَّةٍ




উচ্চারণ: আল হামদুলিল্লাহিল্লাযি কাসানী হাযাস্সাওবা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরী হাওলিম মিননী ওয়া লা কুওওয়াহ।

জামা পায়জামা নিছফে ছাক অর্থাৎ পায়ের নলার অর্ধেক পর্যন্ত হওয়া ভালো। টাখনু গিরার ওপর পর্যন্ত জায়েয। গোল জামা সতর ঢাকায় অধিক সহায়ক বিধায় তা উত্তম। পুরুষের জন্য মহিলাদের কাট-ছাঁটের পোশাক পরিধান করা এবং তাদের বেশ ধারণ করা, তদরুপ মহিলাদের জন্য পুরষের কাট-ছাঁটের পোশাক পরিধান করা এবং তাদের বেশ ধারণ করা হারাম ও নিষিদ্ধ। মহিলাদের জন্য শাড়ি পরিধান করা জায়েয। তবে সেলোয়ার, কামিজ ও উড়না পর্দা রক্ষায় অধিক সহায়ক, বিধায় তাই উত্তম। প্রাণির ছবিযুক্ত কাপড় ব্যবহার করা নাজায়েয। এতো টাইট-ফিট পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ, যাতে শরীরের অঙ্গ ফুটে উঠে। বিজাতীয় লেবাস-পোশাক পরিধান করা নিষেধ। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কালো এবং সবুজ রঙের কাপড়ও ব্যবহার করেছেন। তাই এসব রঙের কাপড়ও মাঝে মাধ্যে ব্যবহার করা মুস্তাহাব। পুরুষের জন্য কুসুম-লাল, হলুদ, জাফরান এবং গোলাপি রঙ নিষিদ্ধ। আর নিরেট লাল অনুত্তম। মহিলাদের জন্য সব রঙ এর পোশাক পরিধান করা জায়েয। কামিজ, জামা, কোর্তা, ছদরিয়া ইত্যাদি পরিধান করতে প্রথমে ডান হাত তারপর বাম হাত ঢুকানো সুন্নাত। তেমনি পায়জামা পরিধান করতে প্রথমে ডান পা পরে বাম পা ঢুকানো সুন্নাত।

বিসমিল্লাহ বলে কাপড় খুলতে শুরু করা এবং খোলার সময় বাম হাত ও বাম পা আগে বের করা সুন্নাত।

কাপড় পরে আল্লাহ তায়ালার শুকর আদায় করা, এতে অনেক গুনাহ্ মা’ফ হয়।

পোশাক-পরিচ্ছেদ এতো ভালোও চাই না, যে লোক বলে অমুকের জামাটা বড় দামী, অমুকের পায় জামাটা কী সুন্দর ইত্যাদি। কারণ এতে অহংকারের পরিচয় পাওয়া যায়। আর একবারে হীন, ময়লা ও নোংরা না হওয়া উচিত। কারণ এতে না-শুকরী হয়। মোটকথা, নিজের অবস্থা অনুসারে সাদাসিধে ও মধ্যম ধরণের লেবাস-পোশাক পরবে। রেশমের কাপড় পরা পুরুষের জন্য হারাম। পুরুষের জন্য যে কোন ধরণের অলঙ্কার পরা হারাম। অবশ্য এক সিকি ৬ গ্রাম ওজনের রূপার আংটি জায়েয আছে। যে অলংকারে বাজনা সৃষ্টি হয় তা মহিলাদের জন্যও পরা নিষেধ।

See Also :