মসজিদে প্রবেশ ও বের হবার সুন্নাত পদ্ধতি কি
![]() |
মসজিদে প্রবেশ ও বের হবার সুন্নাত পদ্ধতি |
মসজিদে প্রবেশ ও বের হবার সুন্নাত পদ্ধতি |
তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া, যেমন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
‘যদি মানুষ জানত কি (পুরষ্কার) রয়েছে আযানে এবং প্রথম কাতারে এবং এটি (পুরষ্কার) অর্জনের আর কোন পথ না পেত লটারী করা ব্যতীত, তাহলে তার লটারী করত। যদি তারা জনত যোহরের সলাত তাড়াতাড়ি আদায় করার কি (পুরষ্কার) রয়েছে তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। যদি তারা জানত ঈশা এবং ফাজরের সলাত জামা’আতে আদায় করার ফাদীলাত, তাহলে তারা তা আদায় করতে আসত এমনকি যদি তাদেরকে হামাগুড়ি দিয়েও আসতে হয়।
মসজিদে যাওয়ার সময় দো’আ পড়া-
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ আমার ক্বলবে আপনি নূর দান করুন, আমার জিহ্বায় নূর দিন, আমার কানের মধ্যে নূর দিন, আমার চোখের মধ্যে নূর দিন, আমার পেছনে নূর দিন, আমার সামনে নূর দিন এবং আমার উপরে নূর দিন এবং আমার নীচে নূর দিন। হে আল্লাহ আমার উপর নূর বর্ষন করুন।
সাকিনাহ এবং ওয়াকার সহ হেঁটে যাওয়া ।
সাকিনাহ হচ্ছে ধীরে সুস্থে যাওয়া এবং তাড়াহুরা বর্জন করা। ওয়াকার হচ্ছে দৃষ্টিকে নামিয়ে রাখা এবং কন্ঠকে নীচু রাখা এবং এদিক সেদিক অধিক তাকানো বর্জন করা
মসজিদে হেটে যাওয়া, যাতে গুনাহ্ সমূহ ঝরে পড়ে এবং জান্নাতে মর্যাদা বাড়তে থাকে।
মসজিদে ঢুকার সময়ে দো’আ পাঠঃ
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা খুলে দিন।
বিসমিল্লাহ পড়া ।
দূরূদ শরীফ পড়া
ইতিকাফের নিয়ত করা। মসজিদের ভিতরে প্রথমে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা।
প্রবেশ করে (বসার আগে) তাহিয়্যাত আল মসজিদ সলাহ আদায় করা।
ইমাম আশ শাফেয়ী বলেন,‘নিষিদ্ধ সময়েও তাহিয়্যাত আল-মসজিদ সলাত বৈধ।
প্রথম কাতারের দিকে অগ্রগামী হওয়া, যেমন রাসূল সলল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
‘যদি মানুষ জানত কি (পুরষ্কার) রয়েছে আযানে এবং প্রথম কাতারে এবং এটি (পুরষ্কার) অর্জনের আর কোন পথ না পেত লটারী করা ব্যতীত, তাহলে তার লটারী করত
এটা
মসজিদ থেকে বের হবার সময় দো’আ পাঠঃ
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ আমি আপনার ফাদল (পুরষ্কার) চাই।’
বাম পা দিয়ে বের হওয়া।
Post a Comment