খাবার খাওয়া সুন্নাত পদ্ধতি সমূহ কি
![]() |
খাবার খাওয়া সুন্নাত পদ্ধতি সমূহ কি |
খাবার খাওয়া সুন্নাত পদ্ধতি সমূহ কি
১. খানা খাওয়ার পূর্বে উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
২. দস্তুরখানের উপর খানা খাওয়া।
৩. খানার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া।
৪. খানা ডান হাত দিয়ে খাওয়া।
৫. বয়সের দিক দিয়ে যিনি বড় এবং বুযূর্গ তার দ্বারা খানা শুরু করানো।
৬. খাদ্যের ভুল ত্রুটি খোঁজ না করা।
৭. তিন আঙ্গুলে খাওয়া।
নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারনত তিন আঙ্গুলে খেতেন। এটাই ছিল তাঁর (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাবার পন্থা এবং এটিই উত্তম, যদি না একান্তাই অন্যভাবে প্রয়োজন পড়ে।
খাবার শেষে হাতের আঙ্গুল সমূহ চেটে খাওয়া। এবং খাবারের পাত্রগুলো আঙ্গুল দ্বারা ভালভাবে চেটে খাওয়া।
৮. এক ধরনের খাবার হলে নিজের সামনে থেকে খাওয়া। তিনটি সুন্নাহ একই হাদীসে এসেছেঃ
‘হে যুবক, আল্লাহর নাম লও, তোমার ডান (হাতে) খাও এবং খাও যা তোমার সামনের অংশ তা থেকে।
৯.খানার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়তে ভুলে গেলে স্মরণ হওয়া মাত্র “বিসমিল্লাহি আওয়্যালাহু ওয়া আখীরাহ” পড়া।
১০. প্লেট থেকে কোন অংশ পড়ে গেলে উঠিয়ে পরিস্কার করে খাবে।
১১. জুতা খুলে খানা খাওয়া।
১২. খানা খাওয়ার সময় হেলান দিয়ে না বসা।
১৩. তিনভাবে খানার সময় বসা যায়।
ক. পদযুগলে ভর করে উভয় হাঁটু উঠিয়ে।
খ. এক হাঁটু উঠিয়ে এবং অপর হাঁটু বিছিয়ে।
গ. উভয় হাঁটু
বিছিয়ে অর্থাৎ নামাযে বসার ন্যায় বসে সামান্য সম্মুখ পানে ঝুঁকে আহার করা।
১৪. খানা সময় একেবারে চুপ থাকা মাকরূহ। তাই খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে পরস্পর ভালো ভালো কথা বার্তা বলবে। তবে অহেতুক কথা দুঃশ্চিন্তাযুক্ত কথা এবং ঘৃণিত কথা বার্তা বলবে না।
১৫. খানা খাওয়ার পর উভয় হাত ভালভাবে ধৌত করবে।
১৬. খানার পর কুলি করে মুখ পরিস্কার করবে।
১৭. খানার শেষে দু‘‘আ পড়া এবং আগে দস্তরখানা উঠিয়ে পরে নিজে উঠা।
১৮ খাবার শেষে আল্লাহর প্রশংসা করাঃ
নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করতেনঃ
‘সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এই পানাহার করালেন এবং উহার সামর্থ্য প্রদান করলেন, যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে উপায়-উদ্যেগ, ছিল না কোন শক্তি সামর্থ্য।’
Post a Comment